শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ॥মৌলভীবাজার: করোনা সংক্রমণের এসময়ে সমাজের দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের উদ্দেশে বিতরণের জন্য এক শিশু নিজের উপবৃত্তির টাকা দান করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে। শিশুটির নাম অপ্সরী দেব পড়শী।সে শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির খ শাখার মেধাবী শিক্ষার্থী। তার রোল নম্বর ১। অপ্সরীর বাবা পরিতোষ দেব। তিনি শ্রীমঙ্গল নতুন বাজারের ডিম ব্যবসায়ী। সোমবার (৮ মে) শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকতৃঅ (ইউএনও) নজরুল ইসলামের হাতে বৃত্তির পুরো ১২০০ টাকা তুলে দেয় সে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক সুদীপ দাস প্রমুখ।ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ সম্পর্কে অপ্সরী দেব পড়শী বাংলানিউজকে বলে, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের সেবার জন্য আমার বৃত্তির পুরো টাকা আমি ত্রাণ তহবিলে দান করেছি। অনেক মানুষ তো খাবার পাচ্ছে না। তাই তাদের কথা ভেবে আমি এটা করেছি। এটা করতে পেরে খুব ভালো লাগছে আমার।
মঙ্গলবার (৯ মে) প্রতিক্রিয়ায় ইউএনও নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অপ্সরী একবছরের উপবৃত্তির পুরো ১২০০ টাকা করোনা-দুর্গত মানুষদের সহায়তা করার জন্য উপজেলা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে। আমি তাকে বললাম- তোমার নিজের লেখাপড়ার জন্য টাকাটা কাজে লাগাতে পারতে। সে বললো, ‘এই মুহূর্তে অসহায় মানুষদের সহায়তা করাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
এই করোনাকালে নিত্যদিন অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে দিনাতিপাত করছি। দায়িত্ব পালনকালীন হৃদয়ে নাড়া দেওয়া গুটিকয়েক আশাব্যঞ্জক ঘটনার মধ্যে এটি নিশ্চিতভাবেই অন্যতম হয়ে থাকবে বলে জানান ইউএনও নজরুল ইসলাম।
একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মিতা প্রকাশ করা, নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক বলেও মন্তব্য করেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।