রিপন মিয়া, কমলগঞ্জ সংবাদদাতা।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখার একজন কর্মকর্তা ও একজন নিরাপত্তাকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রোববার (৩ মে) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ শাখাটি লকডাউন করা হয়েছে। ফলে জনতাব্যাংক ভানুগাছ শাখা ও সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখায় অস্বাভাবিক চাপে পড়েছে। জনতা ব্যাংক ভানুগাছ শাখার বাহিরে ছিল ভাতাভোগীদের দীর্ঘ লাইন।
সোমবার সকালে দেখা যায় সকাল ১০টায় ব্যাংক শাখা খোলার কথা থাকলেও জনতা ব্যাংক ভানুগাছ শাখা ও সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখার সামনে নারী-পুরুষ গ্রাহকরা তার আগে সকাল ৯টায় এসে বাহিরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিলেও কোনভাবে এ নির্দেশনা মানছেন না গ্রাহকরা। সকাল সাড়ে ৯টায় ব্যাংক শাখা খুলে প্রবেশকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে গ্রাহকদের হাত ভিজিয়ে প্রবেশ করানো হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গ্রাকহদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়।
জনতা ব্যাংক ভানুগাছ শাখার ব্যবস্থাপক তমাল দত্ত বলেন, সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ লকডাউনে থাকায় ভাতাভোগীদের চাপ বেড়ে গেছে। তাদের একজন কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় মাত্র ৪জন স্টাফ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ব্যাংকের ভিতরে সামাজিক দূরত্ব রাখতে পারলেও ব্যাংকের বাহিরে কোনভাবে সামাজিক দূরত্ব রাখা যায়নি।
শমশেরনগরে পূবালী ব্যাংক ও ভানুগাছ বাজারে সোনালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখা বন্ধ থাকায় সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখার গ্রাহকদের চাপ বেড়ে গেছে। সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক প্রিন্সিপাল অফিসার রিপন মজুমদর বলেন, উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখা লকডাউনে পড়ায় সেখানে পিন কোড ও অনলাইনের কিছু গ্রাহক এ শাখায় আসেন। ফলে প্রচন্ড চাপ ছিল এ শাখায়। গত রোববার এক দিনে রেমিটেন্স মিলিয়ে এ শাখায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।