বড়লেখা প্রতিনিধি ।।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। সে কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে খাদ্যসংকটে। এমন দুর্যোগের দিনে এলাকার দরিদ্র মানুষের কষ্ট দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেননি জুড়ী উপজেলার সোনারূপা চা বাগানের চৌমুহনী বাজারের দরিদ্র্র চা–বিক্রেতা তরণী রুদ্র পাল। নিজের দারিদ্রতাকে পিছনে টেলে এলাকার হত ৫০টি দরিদ্র চা–শ্রমিক পরিবারের মাঝে শনিবার চৌমুহনী বাজারে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি করোনার সংক্রমণ থেকে এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে নিজ উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারপত্রও বিলি করেছেন। দরিদ্র হয়েও দারিদ্রদের সহায়তায় এগিয়ে আসায় তিনি এলাকার মানুষের প্রসংশা কুড়াচ্ছেন।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার পূর্ব জুড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সজল কান্তি বাউরী বলেন, তরণী রুদ্র্র পাল বিত্তশালী কোন ব্যক্তি নন, যিনি ত্রাণ নেয়ার কথা তিনিই আজ ত্রাণ দিচ্ছেন, ঘটনাটি ব্যতিক্রম এবং বিত্তবানদের শিক্ষনীয় বিষয়। তিনি চা–বিক্রয় করেই সংসার চালান। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় নিজেই পরিবার নিয়ে সমস্যাগ্রস্থ’। অথচ তিনি গ্রামের দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। যা মানবতার এক বিরল দৃান্ত স্থাপন হয়ে থাকবে।
সোনারূপা চা বাগানের গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি কানু রুদ্র পাল বলেন, বাগান এলাকার চৌমুহনী বাজারে চা–বিক্রয় করে টানাপোড়নে সংসার চালায় তরণী। এলাকার দরিদ্র মানুষের কষ্ট দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেনি। তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কান্নায় আবেগ আপ্লুত চা বিক্রেতা তরণী রুদ্র্র পাল জানান, ‘আমি সামর্থ্যশালী নই, তবুও চেষ্টা করছি এলাকার দরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর, আমার একটি মাত্র ছেলে তার জন্য সকলে আর্শিবাদ করবেন, সে যেন বড় হয়ে গরিব দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারে।